আমতলী প্রতিনিধি ॥ রোববার লকডাউন ঘোষনার সাথে সাথে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পিয়াজ ও আলু আমতলী বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে। এক ধরনের অসাধু ব্যবসায়ী আলু ও পিয়াজ গুদামজাত করে কৃত্রিম সংঙ্কট তৈরি করে বেশী দামে বিক্রি করবে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। ব্যবসায়ীরা বলেন, লকডাউনের ঘোষনার পরপরই ক্রেতারা ধুমছে আলু ও পিয়াজ কিনে নিয়েছে, তাই সংঙ্কট তৈরি হয়েছে। জানাগেছে, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ রক্ষায় রোববার সরকার দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষনা করেছেন। লকডাউন ঘোষনার পরপরই নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী আলু ও পিয়াজ আমতলী উপজেলার বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে। মানুষ বিভিন্ন দোকানে গিয়ে এ সকল পন্য খুজে পাচ্ছেন না। এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী গুদামজাত করে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে বেশী দামে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। এদিকে কিছু ভারতীয় পিয়াজ বাজারে পাওয়া গেলেও দেশীয় পিয়াজ নেই। রোববার সন্ধ্যায় আমতলী বাঁধঘাট চৌরাস্তায় পাইকারী দোকানে আলু ও পিয়াজ খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনেক ক্রেতা এসে আলু ও পিয়াজ না পেয়ে ফিরে গেছেন। কাউনিয়া গ্রামের ক্রেতা মোঃ কবির মৃধা বলেন, বাজারে আলু ও পিয়াজ নেই। কয়েকটি দোকান ঘুরেও আলু ও পিয়াজ পেলাম না। ক্রেতা জামাল, নিজাম, আলমগীর ও জব্বার বলেন, লকডাউনের ঘোষনার সাথে সাথে আমতলী বিভিন্ন দোকান থেকে আলু ও পিয়াজ উধাও হয়ে গেছে। বাঁধঘাট চৌরাস্তার ৫-৭ টি দোকান ঘুরেও আলু ও পিয়াজ পেলাম না। দু’একটি দোকানে পেলেও তা বেশী দামে বিক্রি হচ্ছে। তারা আরো বলেন, ১৫ টাকার আলু ১৮ টাকা এবং ৩০ টাকার পিয়াজ ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলেন, ক্রেতারা ধুমছে আলু ও পিয়াজ কিনে নিয়েছে তাই সংঙ্কট তৈরি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, আড়ত থেকে যে আলু ও পিয়াজ এনেছিলাম তা শেষ। এখন আড়ত মালিকরা মাল দিচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, আড়ত মালিকরা মাল লুকিয়ে রেখেছেন। ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, সোমবার দুপুরের পর থেকেই ক্রেতারা হুমরি খেয়ে আলু ও পিয়াজ কিনতে শুরু করে। তিন ঘন্টার মধ্যে আলু ও পিয়াজ শেষ হয়ে গিয়েছে। আমতলীর ইউএনও আসাদুজ্জামান বলেন, লকডাউনকে পুঁজি করে কোন ব্যবসায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের কৃত্রিম সংঙ্কট তৈরি করে দাম বৃদ্ধি করে থাকেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply